অযত্নে নষ্ট হচ্ছে খুলনার ঐতিহ্যবাহী গণগ্রন্থাগারের দানকৃত দুর্লভ বই ও নিদর্শন

খুলনার বয়রা কলেজ মোড়ে ১৯৬৪ সালের ২৫শে জুন ৩৪ জন লোকবল নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল গণগ্রন্থাগারের । গত এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত বইয়ের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৭’শ ৭০টি। বর্তমানে উপ-পরিচালকসহ কর্মকর্তা কর্মচারীর সংখ্যা ১৩জন। নিচের তলায় বইগুলো সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকলেও দোতলায় অনেক বই নষ্ট হয়েছে, পোকায় খেয়েছে। আলমারিগুলোয় পোকা লেগেছে, ঘুনে ধরেছে এবং যাঁরা এখানে বই দান করেছেন জ্ঞানের আলো ছড়ানোর জন্য সে সব বইয়ের অধিকাংশ নষ্ট এবং অন্য বইয়ের সাথে মিশে গেছে । ১৯৮৪ সালের দিকে খুলনার দৌলতপুরের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ডাঃ আবুল কাশেম তাঁর লেখা সহ সংগৃহীত প্রায় ৬’শ বই এই গণগ্রন্থাগারে দান করেন। পাশাপাশি একটি শোকেস ভরা প্রাচীন আমলের (যেমনঃ মোগল আমল, সুলতানি আমল) মুদ্রা ছিল সেই শোকেসে ছিল। তবে দুর্লভ এই মুদ্রা গুলি চুরি হয়ে যায়। বর্তমানে যা আছে তা মাত্র ৩০-৪০ বছর আগের। আর বইয়ের আলমারিতে লেখা ছিল, সাহিত্যিক ডাঃ আবুল কাশেম কর্তৃক দানকৃত। কিন্তু আজ এত বছর হয়ে গেল অনাদরে অযত্নে বইগুলোসহ আলমারি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটাই খুলনার গণগ্রন্থাগারের বর্তমান অবস্থা। গুণীজনদের মূল্যয়ন না করলে মানুষ কেন লাইব্রেরীতে বই দান করবে এটাই এখন বিজ্ঞজনদের ক্ষোভ।

এ ব্যাপারে সম্মানিত উপপরিচালক জনাব মোহাম্মদ হামিদুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। যারা আগে ছিলেন তারা কি করেছে আমি ঠিক বলতে পারছি ন। তবে এর সত্যতা পাওয়া যায়, সিনিয়র স্টাফ মোঃ মনিরুজ্জামান ও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছ থেকে।

তথ্যসূত্রঃ আবু আসলাম বাবু

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন