হজ মৌসুমে বাংলাদেশ বিমানের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সৌদি প্রবাসী হাসান শরীফ ইসলাম নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী। তার দাবি, সিন্ডিকেট ও মাফিয়া চক্রের কারণে বিমান ভাড়া প্রত্যাশিতভাবে কমছে না, বরং প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাঁধেই অতিরিক্ত ব্যয় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, গত বছর হজ ফ্লাইটের ভাড়া ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা, আর এ বছর তা কমিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও প্রকৃত অর্থে এ খরচ অনেক বেশি। অথচ সৌদি আরবে বর্তমানে ২২ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী আছেন, যাদের জন্য বিশেষ ছাড়ে ভাড়া নির্ধারণ করা হলে তা ১ লাখ ২০ হাজার টাকার নিচে রাখা সম্ভব।
হাসান শরীফ ইসলাম জানান, তিনি গত মৌসুমে জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফিরতি ফ্লাইটে আসেন। ওই সময় তার দেখা অনুযায়ী ৮০-৮৫ শতাংশ সিট খালি ছিল। অথচ এ আসনগুলো বিশেষ ছাড় দিয়ে বিক্রি করা হলে অনেক প্রবাসী উপকৃত হতেন এবং হজ যাত্রীদের খরচও কমে যেত।
তার অভিযোগ, সারা বছর বিমানের অপচয় ও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হজ মৌসুমে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। একইসঙ্গে বিমানের নির্ধারিত ভাড়া অনুসরণ করে অন্যান্য এয়ারলাইনসও ভাড়া নির্ধারণ করে। আর সৌদি ও বাংলাদেশের দুটি এয়ারলাইনস ছাড়া এ মৌসুমে অন্য কোনো আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয় না।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, “এই জুলুমের অবসান কবে হবে?”
বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত বা প্রস্তাব শুনতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। তার পোস্টের সঙ্গে গত বছরের হজ ফ্লাইটের খালি সিটের দুটি ছবিও শেয়ার করেছেন।